পাকিস্তানকে গুঁড়িয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ, প্রতিপক্ষ ভারত

স্পোর্টস ডেস্ক  ৭ ডিসেম্বর ২০২৪, শনিবার >

অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপে পাকিস্তানকে ৭ উইকেটে হারিয়ে ফাইনালে পৌঁছলো বাংলাদেশ। গতকাল দুবাইয়ে আসরের প্রথম সেমিফাইনালে পার্থক্য গড়ে দেন বোলাররা। টাইগার যুবারা মাত্র ১১৬ রানে গুঁড়িয়ে দেয় পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ইনিংস। পরে অধিনায়ক তামিমের অর্ধশতকে ২২.১ ওভারেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় টাইগার যুবারা। অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ফাইনালে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ভারত। দুবাইয়ে ফাইনাল ৮ই ডিসেম্বর। গতকাল আসরের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে শ্রীলঙ্কাকে ৭ উইকেটে হারায় ভারতীয়রা।
দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে জিতে পাকিস্তানকে ব্যাট করতে পাঠায় বাংলাদেশ। ম্যাচের শুরু থেকেই টাইগার পেসাররা ঝড় তোলেন ক্রিজে। নিজের প্রথম দুই ওভারে পাকিস্তানের দুই ওপেনারকে আউট করেন মারুফ মৃধা । এরপর বল হাতে চার উইকেট নেন ইকবাল হোসেন ইমন। পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ ৩১ রানের ইনিংস খেলেন ফারহান ইউসুফ। ছোট লক্ষ্যে রান তাড়ায় নেমে দলীয় ২০ রানে ফেরেন টাইগার ওপেনার কালাম সিদ্দিকী। ১৪ বল খেলে কোনো রান না করেই সাজঘরে ফেরেন তিনি। এরপর আরেক ওপেনার জাওয়াদ আবরারকে দ্রুতই হারায় বাংলাদেশ। তবে তাতে জয়ের জন্য বেগ পেতে হয়নি টাইগারদের। পরে আরও এক উইকেট হারালেও তিনে ব্যাট করতে নামা অধিনায়ক আজিজুল হাকিম তামিমের ৬২ রানের অপরাজিত ইনিংসের সুবাদে সহজেই ম্যাচ জিতে নেয় টাইগার যুবারা। এর আগে গ্রুপপর্বে একটি করে শতক ও অর্ধশতক হাঁকান তামিম।
যুব ওয়ানডে অভিষেকে বাংলাদেশের প্রথম সেঞ্চুরিয়ান হয়ে এই আসর শুরু করেছিলেন আজিজুল হাকিম। পরের ম্যাচে বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান করেন অপরাজিত ফিফটি। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ব্যর্থ হলেও এই ম্যাচে জ্বলে উঠলেন আবার। টুর্নামেন্টের চার ম্যাচে তার রান ২২৪, গড় ১১২। দাপুটে জয় শেষে ম্যাচ সেরার পুরস্কার ওঠে পেসার ইমনের হাতে।
দিনের অপর ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ৭ উইকেটে হারিয়ে যুব এশিয়া কাপের ফাইনালে ওঠে ভারত। টসে জিতে ব্যাট হাতে ৪৭.২ ওভারে ১৭৩ রানে গুটিয়ে যায় লঙ্কানদের ইনিংস। দলীয় ৮ রানেই প্রথম তিন উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। পুলিন্দু পেরারার (৬) পর তার সাজঘরে ফেরেন দুলনিথ সিগেরা (২) ও ভিমাথ দিনসারা (০)। চতুর্থ উইকেটে শারুজান শানমুগানাথানের সঙ্গে ৯৩ রানের জুটি গড়েন লাকবিন আবিসিংগে। দলীয় ১০১ রানে ব্যক্তিগত ৪২ রান করে আউট হন শারুজান। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ইনিংস খেলেন আবিসিংগে। ১০০ বল খেলে তিনি সংগ্রহ করেন ৬৯ রান।
জবাবে মাত্র ২১.৪ ওভারেই ৩ উইকেটের বিনিময়ে জয়ের সুবাস পেয়ে যায় ভারতের যুবারা। আয়ুষ মাত্রে ও আইপিএলে সদ্য ‘কোটিপতি’ বনে যাওয়া বৈভব সূর্যবংশীর জুটিতে ওপেনিংয়েই অর্ধেক রান উঠে যায় ভারতের। ১৮ বলে ৩৪ রান করে আউট হন আয়ুষ। অন্যদিকে ৫ ছক্কা ও ছয়টি চারের মারে বৈভব আউট হন ৩৬ বলে ৬৭ রান করে। ২১.৪ ওভারে বাকি কাজ সেরে ফেলে অধিনায়ক মোহাম্মদ আমান ও কার্তিকেয় কেপি।
পাকিস্তানের সঙ্গে একবার যৌথ চ্যাম্পিয়ন হওয়াসহ টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ আটবার শিরোপা জিতেছে ভারত। পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান শিরোপা জিতেছে একবার করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *